কাজু বাদাম (Cashew Nut) দেখতে অনেকটা বাঁকানো, কিডনি আকৃতির। অফ হোয়াইট রঙের এই বাদাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও সেরা। এর উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল সহ উত্তর আমেরিকা এবং উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ। কিন্তু বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, মোজাম্বিক সহ বেশ কিছু দেশে চাষ হচ্ছে এই বাদাম। এই বাদাম মূলত বেলে দোঁআশ মাটি অথবা পাহাড়ের ঢালে ভ্লো জন্মে। ১০ থেকে ১২ মিটার উচ্চতার পূর্ণ বয়স্ক গাছ থেকে বাদাম সংগ্রহ করা হয়।
জমজম কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ
- বাদামে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান।
- এতে রয়েছে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি খনিজ উপাদান।
- এতে বিদ্যমান দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমূহ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- রক্তশূন্যতা প্রতিহত করতে ভূমিকা রাখে।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
- দেহে শক্তির যোগান দেয়।
- এতে আছে প্রোটিন এবং দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভালো ফ্যাট।
- ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
- নিয়মিত গ্রহণে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপাদেয়। কেননা এটি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকের জন্য বেশ ভালো। একই সাথে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
- এটি দেহে খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে খ্যাত LDL এর মাত্র কমায়।
- ফ্রি র্যডিকেল এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- এতে রয়েছে কপার, যা একটি ট্রেস মিনারেল। এই উপাদানটি দেহকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষ উপকারী।
কেন জমজমের কাজু বাদাম কিনবেন?
- বাচাইকৃত সেরা উপাদান থেকে তৈরি।
- সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করা হয়।
- সেরা মানের বাছাইকৃত বাদাম সরবরাহ করা হয়।
- সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে প্যাকেজিং এরপর অনেক মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
- প্রত্যেকটি ধাপ নিজস্ব টিম দ্বারা মনিটরিং করা হয়। ফলে মান নিয়ে নিঃসঙ্কোচ থাকা যায়।
- সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
- এছাড়া অন্য কোন অপদ্রব্যের সংমিশ্রণ করা হয় না বলে এর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও নেই বললেই চলে।